02 March 2023

ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা

স্বপ্নের শহর ঢাকা। প্রায় ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বাস। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এসব স্বপ্নবান মানুষের ঢাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললেও নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা ছুটে চলেন প্রতিনিয়ত। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এই শহরে একটু নির্মল আবাসের প্রয়াসে তাঁরা খোঁজেন বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। এই তালিকায় পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নাম।

১৯৮৭ সালে বসুন্ধরা গ্রুপের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে এই বৃহৎ আবাসিক প্রকল্প। শুরুতে চারটি ব্লক নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রকল্পের বর্তমান আয়তন ১১৩ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে এখানে ব্লকের সংখ্যা ২০, যাতে ৩৫ হাজারের বেশি প্লট রয়েছে। বলা হয়, ঢাকার আবাসনশিল্পের ১২ শতাংশই এই আবাসিক প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পটি বারিধারা কূটনৈতিক জোনের অদূরে ও হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত। পাশাপাশি গুলশান-১ ও ২ এলাকা থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে এর অবস্থান। এ ছাড়া মাদানী অ্যাভিনিউ ও ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) থাকা ৩০০ ফুট সড়কের সঙ্গে সংযোগ থাকায় এই এলাকার যাতায়াতব্যবস্থাকে অনেক সহজ করেছে। মেট্রোস্টেশন ও উড়ালসড়ক বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে বসুন্ধরার সঙ্গে শহরের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবে। তাই ঢাকায় বসবাসকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এ প্রকল্প।

অবারিত সবুজের মধ্যে গড়ে ওঠা এই আবাসিক এলাকায় নগরজীবনের সব সুযোগ-সুবিধা যেন হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। প্লেপেন, আগা খান, ভিকারুননিসা নূন ও অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং নর্থ সাউথ, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিখ্যাত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। আছে দেশের সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান যমুনা ফিউচার পার্ক ও বিশ্বখ্যাত এভারকেয়ার হাসপাতাল, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, ধর্মীয় উপাসনালয় ও চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রয়েছে।

সব মিলিয়ে তাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হয়ে উঠেছে ক্রেতাদের আস্থার জায়গা। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট ক্রেতাদের ৫০ শতাংশই বসুন্ধরাকে তাঁদের প্রথম পছন্দ হিসেবে মনে করেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যতে আবাসন হিসেবে বসুন্ধরাকে বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

বর্তমানে দেশের প্রথম সারির আবাসন কোম্পানিসহ দেড় শতাধিক আবাসন কোম্পানি কাজ করছে বসুন্ধরা এলাকায়। এদের মধ্যে অন্যতম এডিসন রিয়েল এস্টেট। কোম্পানিটির আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেলে নকশা করা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পগুলো ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ৪০০ কাঠার নিজস্ব জমিতে এডিসন রিয়েল এস্টেট করছে ২১টি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। এক জরিপ অনুসারে, এটি বসুন্ধরা এলাকায় যেকোনো আবাসন কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সঠিক সময়ে গুণগত মানসম্পন্ন ভবন নির্মাণ ও হস্তান্তর করে ক্রেতাদের প্রতি অঙ্গীকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

Write a Comment

Registration isn't required.




By commenting you accept the Privacy Policy